Friday, June 1, 2018

আমার লেখা ই বুক- নমুনা

আমার লেখা ই বুক নমুনা


বর্তমানে আমার লেখা মেডিকেল বইয়ের সংখ্যা 117 (একশত সতের)। আমার পরিচিতজনরা বলেন আমাকে একটা বই দিও পড়ে দেখব। আমি তাদের বলি আমার লেখা বই ইংরেজী ভাষায় বেশি এবং এগুলো মেডিকেল সাইন্স শিক্ষার্থীদের জন্য। তারপরও অনেকে বলে আমরাতো ইংরেজি বুঝি। আমি তাদের বোঝাতে পারিনা যে পত্রিকায় লেখা ইংরেজি ও মেডিকেল বইয়ের ইংরেজীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাছাড়া আরো একটি বিষয় এখানে রয়েছে যে টা অর্থনৈতিক হিসাব। আমি কতগুলো বই উপহার হিসেবে আমার পরিচিতিজনকে দিতে পারব?

তাই আমি নতুন একটি উদ্যাগ হাতে নিয়েছি ... সাধারণ জনগনের জন্য বাংলায় ই-বুক লেখা। যা ইন্টারনেট থেকে যে কউ পড়তে পারবে। আমি শুধু লিংকে শেয়ার করব।

প্রাথমিক ভাবে একটি বইয়ের কাজ করছি..

বইটির লিংক দেয়া হলো-


https://drive.google.com/file/d/1uG5VZrShZycexvob6RKhpAIzJ0ylplqs/view?usp=sharing


অনুগ্রহ করে মোবাইলে কেমন দেখা যায় তা জানাবেন

Thursday, May 17, 2018

রোজার মাসে কয় বেলা ঔষধ খাচ্ছেন ? ঠিক হচ্ছে তো ?







রোজার মাসে কয় বেলা ঔষধ খাচ্ছেন ? ঠিক হচ্ছে তো ? 

সাধারণত আমরা ডাক্তারগন রোগীকে দিনে দুই বেলা কিংবা দিনে তিন বেলা কিংবা শুধু সকালে কিংবা শুধু রাতে ঔষধ প্রদান করে থাকি। আবার কখনো কখনো খালি পেটে, খাবার পর, ভরা পেটে, খাবার এক ঘন্টা পর হিসেবেও ঔষধ দিয়ে থাকি। রোগীদের কে এই ঔষধ সেবন পদ্ধতি সম্পর্কে জানাটা জরুরী।

সাধারণভাবে ঔষধ সেবনের সময়
1) দিনে দুই বেলা : দিনে দুই বেলা ঔষধ খাবার কথা বলা হলে তা হবে সকাল + রাত। এখানে দুই বেলার মধ্যে পার্থক্য হলো 12 (বার) ঘন্টা নূণ্যতম 9-10 ( নয়-দশ) ঘন্টা।
2) দিনে তিন বেলা : তিন বেলা বলতে সকাল + দুপুর + রাত। প্রকৃত পক্ষে প্রতি বেলার মাঝে আট ঘন্টা পার্থক্য থাকতে হয়, তবে তা নূন্যতম 6 (ছয়) ঘন্টা।
3) দিনে এক বার সকালে : এখানে সকালের ঔষধ বলতে দুটো বিশেষ দিক বোঝাতে পারে। ক) সারারাত অভুক্ত থেকে সকালে খেয়ে তারপর ঔষধ সেবন করা। খ) ঔসধ সারাদিন ধরে কাজ করবে তাই সকালে সেবন করা।
4) দিনে একবার রাতে : এখানে রাতে ঔষধ বলতেও দুটো বিশেষ বিষয় বোঝাতে পারে। ক) ঘুমানোর পূর্বে সেবন করলে এবং ঘুমিয়ে গেলে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম অনূভূত হবে। খ) এগুলো খেলে ঘুম আসতে পারে তাই ঘুমানোর পূর্বে সেবন করা।

রোজার মাসে রোগীগন সাধারণত তিন বেলা এভাবে হিসেব করেন- 1) ইফতারের পর 2) রাতের খাবার 3) সেহরী । এখানে সন্ধ্যা 7 টা থেকে রাত 3.30 মিনিট পর্যন্তই (আট ঘন্টা 30 মিনিট) তিন বেলা হিসেব করতে হয়। সঠিক ঔষধ সেবন পদ্ধতি অনুযায়ী এখানে তিন বেলা হতে পারে না, বড়জোড় দুই বেলা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যা হতে পারে-
 তাহলে যদি রোগী নিজের মত করে তিন বেলা হিসেব করে ঔষধ সেবন করে তবে তার মাত্রা বেশি হয়ে যেতে পারে, ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশি হতে পারে, আবার রোগী যদি নিজে থেকেই একবেলা কমিয়ে দেয় তবে মাত্রা সঠিক নাও হতে পারে।
 যে ঔষধ অনেক্ষণ অভূক্ত থাকার পর সেবন করতে হয় (পূর্বের নিয়মে সকালে)তা যদি সেহরীর সময় খাওয়া হয় তবে তা ঠিক হয় না, যদি ইফতারের পর খাওয়া হয় তবে ঠিক হতে পারে (যদি চিকিৎসক পরামর্শ দেন)।
 যে সকল ঔষধে ঘুম হতে পারে সেগুলো যদি রাতে খাওয়া হয় তবে সেহরীর সময় উঠতে সমস্যা হবে। আবার না খেলে হয়ত অন্য সমস্যা হতে পারে। আবার সেহরীর সময় খেলে দিনের বেলা কাজ কর্মে ব্যঘাত ঘটতে পারে।

তাই রোজার পূর্বে প্রতিটি রোগীর (বিশেষত যারা দীর্ঘদিন যাবৎ ঔষধ সেবন করছেন এবং তা ধারাবাহিক) উচিৎ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ঔষধের ডোজ (মাত্রা) পুণঃ নির্ধারন, ঔষধ পরিবর্তন ( যদি প্রয়োজন হয়)ইত্যাদি সম্পন্ন করা যেন রোজার মাসে রোজা রাখতে সমস্যা না হয়।

যদি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক দুরে থাকেন কিংবা তা সময় সাপেক্ষ হয় তবে নিকটস্থ একজন একই বিশেষঙ্গের পরামর্শ নিতে পারেন। না পাওয়া গেলে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। তাও সম্ভব না হলে অভিঙ্গ এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডাক্তার কে বলতে হবে রোগী রোজা রাখতে চাচ্ছেন, তা সম্ভব কি না? সম্ভব হলে ঔষধের মাত্রা কি হবে। পরবর্তীতে রোগী তার পূর্বের চিকিৎসকের নিকট পুনরায় যেতে পারবে।

এই মাহে রমজান মাসে সকলেই সুস্থ থাকুন। সুষ্ঠুভাবে রোজা পালন করুন। মহান আল্লাহ পাকের নিকট এই প্রার্থনা করছি।



রচনায়





রোজায় ঔষধ ও চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা




রোজায় ঔষধ ও চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা


১৯৯৭ সালের জুনে মরক্কোতে ‘ইসলামের দৃষ্টিতে সমসাময়িক চিকিৎসা সমস্যা’ (An Islamic View of Certain Contemporary Medical Issues) শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল কী কী মেডিকেলজনিত কারণে রোজার ক্ষতি হয় না। পরবর্তী সময়ে নবম ফিকাহ-মেডিকেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে যৌথভাবে বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা হয়। এ আলোচনা যৌথভাবে জেদ্দার ইসলামিক ফিকাহ একাডেমি, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটি, আলেকজান্দ্রিয়ায় অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয় এবং ইসলামি শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের (আইএসইএসসিও) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারেও মূল আলোচ্য বিষয় ছিল কী কীভাবে ওষুধ সেবনে বা পরীক্ষা করলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
ইসলামি চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বসম্মতিক্রমে এমন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন, যাতে অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখা অবস্থায় নিম্নলিখিত ব্যবস্থাপত্র নিলে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে রোজা ভঙ্গ হবে না। এই সেমিনারের সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।
 রোজা রাখা অবস্থায় চোখ, কান ও নাকে ড্রপ নেওয়া যাবে।
 হূদরোগীর বেলায় বুকে ব্যথা হলে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে বা ট্যাবলেট জিহবার নিচে নিতে পারবেন।
 মূত্রথলি পরীক্ষা বা এক্স-রে করার জন্য রোগীর প্রস্রাবের দ্বার দিয়ে ক্যাথেটার অথবা অন্য কোনো যন্ত্র প্রবেশ করালে অথবা রেডিও-ওপেক ডাই প্রবেশ করালে রোজা ভঙ্গ হবে না।
 দাঁত তোলা, ড্রিলিং করা বা মেসওয়াক বা ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা যাবে, তাতে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে যেন এগুলো করার সময় পাকস্থলীতে থুতু বা টুথপেস্ট প্রবেশ না করে।
 রোগীর চামড়া, মাংস, অস্থিসন্ধি ও শিরায় ইনজেকশন দেওয়া যাবে। কিন্তু ডেক্সট্রোজ, প্রোটিনজাতীয় স্যালাইন ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
 যে কেউ রক্ত অন্যকে দিতে পারবেন আবার জরুরি প্রয়োজনে নিজেও নিতে পারবেন।
 কোনো রোগী অক্সিজেন অথবা অজ্ঞানকারী গ্যাস (অ্যানেসথেসিয়া) নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
 ত্বকের মাধ্যমে শরীরের ভেতরে যায় এমন মলম, ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
 পরীক্ষার জন্য রোগীর শরীর থেকে রক্ত নেওয়া যাবে।
 হূদরোগে আক্রান্ত রোগী হার্টের এনজিওগ্রাম এবং কার্ডিয়াক ক্যাথেটার করা যাবে।
 রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বা চিকিৎসার অংশ হিসেবে এন্ডোস্কপি করলে রোজা ভাঙবে না।
 মুখ পরিষ্কারের জন্য মাউথ ওয়াশ বা গড়গড়া বা মুখে স্প্র্রে জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে, তবে যেন পাকস্থলীতে কোনো কিছু না যায়।
 লিভার বায়োপসি অথবা অন্য কোনো অঙ্গের বায়োপসি করলে রোজা নষ্ট হবে না।
নাকে স্প্রে বা হাঁপানি রোগীর বেলায় ইনহেলার জাতীয় কিছু নিলে কোনো সমস্যা নেই।
 রোগীর পায়ুপথে ইনজেকশন, ঔষধ অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আঙুল বা অন্য কোনো যন্ত্র প্রবেশ করালে রোজা ভাঙবে না।
 জরায়ু পরীক্ষার জন্য শরীরে হিস্টারোস্কপি করা যাবে, এমনকি জরায়ুতে কোনো যন্ত্রপাতি বা অন্য কিছু পরীক্ষার জন্য প্রবেশ করালে রোজায় কোনো সমস্যা হবে না।
 জরুরি কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে রোজা রাখা অবস্থায় করা যাবে।
 কিডনি অকেজো হলে রোগীর ডায়ালাইসিস করলে রোজা ভাঙবে না।



সংকলনে








Friday, November 24, 2017

জন্মনয়িন্ত্রন পদ্ধতি সম্পর্ক ধারণা; পর্ব-5 : জন্মনয়িন্ত্রন পদ্ধত সমূহ




জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সমূহ

 
আমাদের দেশে প্রচলিত জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সমূহ
) পুরুষদের জন্য
ক) অস্থায়ী: অসম্পূর্ণ মিলন, কনডম
খ) স্থায়ী: ভেসেকটমি বা পুরুষ বন্ধাকরন

) মহিলাদের জন্য
) অস্থায়ী
ক) যান্ত্রিক পদ্ধতি: কপার-টি 
খ) হরমোনাল: খাবার বড়ি, ইনজেকশন, নরপ্ল্যান্ট 
গ) প্রাকৃতিক: নিরাপদ সময়, স্তন্য দান
) স্থায়ী পদ্ধতি: টিউবেকটমি বা লাইগেশন





জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সমূহকে আবার নিম্ন রূপেও শ্রেনি বিভাগ করা যেতে পারে-

ক) স্বল্প মেয়াদী
 পুরুষ : অসম্পূর্ণ মিলন, কনডম
 মহিলা: প্রাকৃতিক পদ্ধতি, খাবার বড়ি।

খ) মধ্যম মেয়াদী
মহিলাদের জন্য: খাবার বড়ি, ইনজেকশন

গ) দীর্ঘ মেয়াদী
মহিলাদের জন্য: নরপ্ল্যান্ট, কপারটি।

ঘ) স্থায়ী
পুরুষ : ভ্যাসেকটমি
মহিলা : লাইগেশন বা টিউবেকটমি।




এই পর্বের এখানেই সমাপ্তি । আগামী পর্বে রয়েছে পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সমূহ।



পূর্ববর্তী পর্বসমূহ







সতর্কীকরণ 



[ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত; কপিরাইটকৃত রচনা।  রচয়িতার লিখিত অনুমতি ব্যতিত এই রচনা বা এর কোন অংশ বিশেষের অনুবাদ বা কোন প্রকারে এর অনুলিপি (যেমন- মুদ্রণ, ফটোস্ট্যাট, কম্পিউটার কম্পোজ বা অন্য কোন উপায়ে) তৈরি, সংরক্ষণ, বিক্রয়, বিতরণ, নিয়মবহির্ভূতভাবে কোন পুস্তকে বা প্রকাশনায় ব্যবহার কিংবা ওয়েব সাইটে প্রকাশ বাংলাদেশ কপিরাইট আইন ২০০৫ অনুযায়ী  শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।  ]

উপরোক্ত রচনাটি ডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম রচিত প্রকাশিতব্য পুস্তক ’’জন্মনিয়ন্ত্রন ’’ থেকে নেয়া হয়েছে।

তবে কোনরূপ পরিবর্তন না করে লিংক হিসেবে ফেসবুকে বা ইন্টারনেটে শেয়ার করা যাবে।
কপি-পেস্ট আইনত দন্ডনীয় বলে বিবেচিত হবে ।



Saturday, August 12, 2017

জন্মনয়িন্ত্রন পদ্ধতি সম্পর্ক ধারণা; পর্ব-4 : গর্ভধারণ







প্রেগন্যান্সি বা গর্ভধারণ
এমন একটি অবস্থা যেখানে জরায়ুতে ভ্রুন বৃদ্ধি পেতে থাকে সাধারণত গর্ভকাল হলো দিনের হিসেবে ২৮০ দিন বা সর্বশেষ মাসিকের তারিখ হতে ক্যালেন্ডার মাস দিন বা ৪০ সপ্তাহ  গর্ভ ধারন কালকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয় প্রতিটিকে ট্রাইমিস্টার বলা হয় ট্রাইমিস্টার গুলো হলো
) প্রথম ট্রাইমিস্টার: প্রথম হতে বারতম সপ্তাহ পর্যন্ত
) দ্বিতীয় ট্রাইমিস্টার: ১৩ তম হতে ২৮ তম সপ্তাহ পর্যন্ত
) তৃতীয় ট্রাইমিস্টার: ২৯ তম সপ্তাহ হতে গর্ভকালের শেষ সময় পর্যন্ত


গর্ভধারনের প্রক্রিয়া
গর্ভধারনের প্রক্রিয়াকে নিম্নলিখিত ধাপে প্রকাশ করা যেতে পারে
) একজন প্রজনন ক্ষম মহিলা যখন কোন জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি অবলম্বন ব্যতিরেকে কোন পুরুষের সাথে  যৌন  মিলন করে তখন মহিলার ভ্যাজাইনাতে পুরুষের সীমেন সঞ্চিত হয় এবং যৌন মিলনের সময় আভ্যন্তরিন স্ত্রী জননাঙ্গ সমূহে প্রচর তরল ক্ষরিত হয়

) এই সীমেনে  বিদ্যমান স্পার্ম বা শুক্রানু (স্বাভাবিক ভাবে সংখ্যায় কয়েক কোটি) স্ত্রী আভ্যন্তরিন জননাঙ্গে বিদ্যমান তরল পদার্থের মধ্যে সাঁতার কাটতে থাকে আবার যৌন মিলনের সময় মহিলাদের আভ্যন্তরিন জননাঙ্গে ভ্যাজাইনা হতে ফ্যালোপিয়ান টিউব সঞ্চালন হতে থাকে ফলে শুক্রানু তরলের মধ্যে সাতার কাটতে কাটতে ফ্যালোপিয়ান টিউবের দিকে যেতে থাকে এভাবে শুক্রানু স্ত্রী জননাঙ্গের অভ্যন্তরে সাধারণত ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অবস্থানরত অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে

) যদি সময়ে মহিলার ওভুলেশন ঘটে থাকে এবং পুরুষের স্পার্ম বা শুক্রানু সক্রিয় থাকে তবে ওভাম বা ডিম্বানুর সাথে স্পার্ম মিলিত হয়ডিম্বানুর সাথে একটি মাত্র স্পার্ম মিলিত হতে পারে।

) ওভাম স্পার্মের মিলনের ফলে ওভামটি নিষিক্ত হয় এবং জাইগোট সৃস্টি করে সাধারণভাবে ফ্যালোপিয়ান টিউবের অভ্যন্তরে এই নিষিক্তকরন ও জাইগোট সৃস্টির ঘটনা  ঘটে

) এই জাইগোট  সাধারণ ভাবে ৬ষ্ঠ - ৮ম দিনে ইউটেরাস বা জরায়ুতে আসে এবং সেখানে প্রথিত হয় এই প্রক্রিয়াকে ইমপ্লান্টেশন বলা হয়

) ইমপ্লান্টেশন  হওয়ার পর জাইগোট ভ্রুনে রূপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি বিকাশের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ নবজাতকে রূপান্তরিত হয় এবং  পুর্নাঙ্গ শিশু হিসেবে ভুমিষ্ট হয়



চিত্র: গর্ভাবস্থার সৃস্টি ( 1- ওভুলেশন, 2-ফার্টিলাইজেশন, 3- জাইগোট সৃস্টি, 4-7 ভ্র ুণে রূপান্তর ,  ইমপ্লান্টেশন )






চিত্র: গর্ভাবস্থায় শিশুর বৃদ্ধি






চিত্র: গর্ভাবস্থায় শিশুর বৃদ্ধি






গর্ভকালীন সময় মাসিক
যদি ডিম্বানু নিষিক্ত না হয় তবে আকস্মিক ভাবে রক্তের এস্ট্রোজেন প্রোজেস্টেরনের পরিমান কমে যায় বলে ওভুলেশনের পর ১৪ তম দিনে মাসিক (রক্তক্ষরণ) শুরু হয়
যদি ডিম্বানু নিষিক্ত হয় তবে তা পরবর্তীতে প্লাসেন্টা বা অমরা বা গর্ভফুল সৃষ্টি করে  প্লাসেন্টা বা অমরা বা গর্ভফুল প্রচুর পরিমান হিউমেন কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন হরমোন নিঃসরন করে যার প্রভাবে  এস্ট্রোজেন প্রোজেস্টেরন  নিঃসরনের কোন পরিবর্তন ঘটেনা এবং ফলশ্রুতিতে এন্ডোমেট্রিয়ামের বৃদ্ধি চলতে থাকে মাসিক বাঁধাগ্রস্ত হয় তাই গর্র্ভধারনকালীন সময়ে মাসিক হয়না



গর্ভধারণ সম্পর্কিত কিছু শব্দ পরিচিতি

প্রসব  : বাচ্চা জন্মদানের প্রক্রিয়াকে প্রসব বা পারচুরিশন বলে। গর্ভস্থ শিশু পরিণত হয়ে গেলে প্রসব ঘটে। প্রসব প্রক্রিয়া প্রাকৃতিক ভাবে ভ্যাজাইনা দিয়ে হতে পারে আবার কৃত্রিম ভাবে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পেট কেটে বের করে আনা হতে পারে। 

এবরশন বা গর্ভপাত : গর্ভস্থ শিশু ২৮ সপ্তাহ হবার পূর্বে গর্ভধারণের সমাপ্তি (অর্থাৎ ভ্যাজাইনা দিয়ে গর্ভস্থ উৎপাদি বের হয়ে আসা ) হলে তাকে এবরশন বা গর্ভপাত  বলা হয়।  প্রাকৃতিক ভাবেও হতে পারে আবার কৃত্রিম ভাবেও গটানো যেতে পারে।

পিউরপেরিয়াম : বাচ্চা প্রসবের পরবর্তী সপ্তাহকে পিউরপেরিয়াম বলে সময়ে  গর্ভকালীন সময়ে পরিবর্তিত অঙ্গ সমুহ (জরায়ু সংশ্লিষ্ট) স্বাভাবিক অবস'ায় (গর্ভ পূর্ববর্তী) ফিরে আসে


ল্যাকটেশন বা স্তন্যদান : স্তনের অভ্যন্তরে দুগ্ধ নিঃসরন থেকে শুরু করে বৃন্ত দ্বারা বাইরে বের হওয়া পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়ার সমন্বিত নাম স্তন্যদান সাধারণত শিশু ঠিকমত মায়ের বুকের দুধ খেলে প্রসবের মাস পর্যন্ত সর্বোচ্চ ল্যাকটেশন ঘটে




এই পর্বের এখানেই সমাপ্তি । আগামী পর্বে রয়েছে আমাদের দেশে প্রচলিত জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি। 



পূর্ববর্তী পর্বসমূহ








সতর্কীকরণ 



[ সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত; কপিরাইটকৃত রচনা।  রচয়িতার লিখিত অনুমতি ব্যতিত এই রচনা বা এর কোন অংশ বিশেষের অনুবাদ বা কোন প্রকারে এর অনুলিপি (যেমন- মুদ্রণ, ফটোস্ট্যাট, কম্পিউটার কম্পোজ বা অন্য কোন উপায়ে) তৈরি, সংরক্ষণ, বিক্রয়, বিতরণ, নিয়মবহির্ভূতভাবে কোন পুস্তকে বা প্রকাশনায় ব্যবহার কিংবা ওয়েব সাইটে প্রকাশ বাংলাদেশ কপিরাইট আইন ২০০৫ অনুযায়ী  শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।  ]

উপরোক্ত রচনাটি ডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম রচিত প্রকাশিতব্য পুস্তক ’’জন্মনিয়ন্ত্রন ’’ থেকে নেয়া হয়েছে।

তবে কোনরূপ পরিবর্তন না করে লিংক হিসেবে ফেসবুকে বা ইন্টারনেটে শেয়ার করা যাবে।
কপি-পেস্ট আইনত দন্ডনীয় বলে বিবেচিত হবে ।