সঠিক যোগ্যতার ডাক্তারের চিকিৎসা নিচ্ছেন তো ? ... ডাক্তার চিনে নিন ( পর্ব-1 )
(ধারাবাহিক রচনার প্রথম পর্ব)
আমরা রোগাক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহনের জন্য ডাক্তারের কাছে যাই। কিন্ত আমরা কি বুঝি কোন ডাক্তারের যোগ্যতা কতখানি? সঠিক যোগ্যতার ডাক্তার নির্বাচন না করলে হয়ত রোগীর অযথা ভোগান্তি হতে পারে। তাই ডাক্তারদের যোগ্যতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।
আমাদের দেশে তিনটি স্বীকৃত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে; অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ও হার্বাল। আমরা রোগাক্রান্ত অবস্থায় উক্ত তিন ধরনের চিকিৎসার কোন একটি বা একাধিক গ্রহন করে থাকি। তাই এই তিন ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিকিৎসকদের যোগ্যতা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিৎ। আজ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার ডাক্তারদের পরিচিতি নিয়ে আলোচনা করব।
# অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা #
মূলত চিকিৎসা বলতে অ্যালোপ্যাথিকেই বোঝানো হয়। এটিই আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। আসুন এবার আমরা এ চিকিৎসা ব্যবস্থার চিকিৎসকদের যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নেই ।
মূলত চিকিৎসা বলতে অ্যালোপ্যাথিকেই বোঝানো হয়। এটিই আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। আসুন এবার আমরা এ চিকিৎসা ব্যবস্থার চিকিৎসকদের যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নেই ।
1) সনদবিহীন (সার্টিফিকেটহীন) চিকিৎসক ও পল্লী চিকিৎসক:
সাধারণত গ্রাম ও শহরে যারা নিজেরা ঔষধ বিক্রয় করেন তারাই এ ধরনের চিকিৎসক। এ ধরনের চিকিৎসকের কোন সার্টিফিকেট ( চিকিৎসা শিক্ষার প্রমানপত্র হিসেবে) নেই কিংবা এল.এম.এফ, আর.এম.পি ইত্যাদি নামে সনদ রয়েছে। । মূলত এদের দায়িত্ব হলো রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে জনগনকে সচেতন করা, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা ও প্রয়োজনে First Aid (প্রাথমিক চিকিৎসা) প্রদান করা এবং ফামের্সী প্রশিক্ষণ থাকলে প্রেসক্রিপশনের ঔষধ বিক্রয় করা। এ ধরনের চিকিৎসকগণ প্রাথমিক জ্ঞান সীমিত এবং শুধু মাত্র প্রাথমিক পর্যায়ের অতিসাধারণ রোগ চিকিৎসার উপযুক্ত। এ ধরনের চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক এবং অধিক মূল্যমানের ঔষধ সেবন না করাই উত্তম। উল্লেখ্য এ ধরনের চিকিৎসকরাই বেশিরভাগ জনগণকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। এ ধরনের চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করলে তারা আরো উন্নত স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারবে।
সাধারণত গ্রাম ও শহরে যারা নিজেরা ঔষধ বিক্রয় করেন তারাই এ ধরনের চিকিৎসক। এ ধরনের চিকিৎসকের কোন সার্টিফিকেট ( চিকিৎসা শিক্ষার প্রমানপত্র হিসেবে) নেই কিংবা এল.এম.এফ, আর.এম.পি ইত্যাদি নামে সনদ রয়েছে। । মূলত এদের দায়িত্ব হলো রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে জনগনকে সচেতন করা, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা ও প্রয়োজনে First Aid (প্রাথমিক চিকিৎসা) প্রদান করা এবং ফামের্সী প্রশিক্ষণ থাকলে প্রেসক্রিপশনের ঔষধ বিক্রয় করা। এ ধরনের চিকিৎসকগণ প্রাথমিক জ্ঞান সীমিত এবং শুধু মাত্র প্রাথমিক পর্যায়ের অতিসাধারণ রোগ চিকিৎসার উপযুক্ত। এ ধরনের চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক এবং অধিক মূল্যমানের ঔষধ সেবন না করাই উত্তম। উল্লেখ্য এ ধরনের চিকিৎসকরাই বেশিরভাগ জনগণকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। এ ধরনের চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করলে তারা আরো উন্নত স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারবে।
2) ডিএমএফ:
সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) হতে তিন বছর/চার বছর মেয়াদী কোর্স সম্পন্নকৃত এবং বাংলাদেশ রাস্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ স্বীকৃত সনদধারী চিকিৎসক। এ ধরনের চিকিৎসক সরকারী পর্যায়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ধরনের চিকিৎসকগনও প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসক তবে সার্টিফিকেটহীন ও পল্লী চিকিৎসকদের চেয়ে উন্নত। উল্লেখ্য এ ধরনের চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ঔষধ সেবন করা তুলনামূলক নিরাপদ।
সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) হতে তিন বছর/চার বছর মেয়াদী কোর্স সম্পন্নকৃত এবং বাংলাদেশ রাস্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ স্বীকৃত সনদধারী চিকিৎসক। এ ধরনের চিকিৎসক সরকারী পর্যায়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ধরনের চিকিৎসকগনও প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসক তবে সার্টিফিকেটহীন ও পল্লী চিকিৎসকদের চেয়ে উন্নত। উল্লেখ্য এ ধরনের চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ঔষধ সেবন করা তুলনামূলক নিরাপদ।
3) : স্নাতক পর্যায়ের চিকিৎসক
এ ধরনের চিকিৎসক বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হতে এই ডিগ্রী লাভ করেন। যে কোন ধরনের রোগের চিকিৎসায় এ ধরনের চিকিৎসকগণই উপযুক্ত।
এ ধরনের চিকিৎসক বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হতে এই ডিগ্রী লাভ করেন। যে কোন ধরনের রোগের চিকিৎসায় এ ধরনের চিকিৎসকগণই উপযুক্ত।
এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করার পর অনেকেই উচ্চতর প্রশিক্ষণ কিংবা ডিগ্রী লাভ করে থাকেন। যেমন-
ক) স্নাতকোত্তর সাধারণ প্রশিক্ষণ: সার্টিফিকেট পর্যায়ের স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ, । বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণ হতে পারে যেমন- মেডিসিন, স্ত্রী ও প্রসুতি বিদ্যা, শিশু রোগ ইত্যাদি।
খ) পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিং) : সার্টিফিকেট পর্যায়ের স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণ হতে পারে যেমন- মেডিসিন, স্ত্রী ও প্রসুতি বিদ্যা, শিশু রোগ ইত্যাদি।
গ) স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা: বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ডিগ্রী হতে পারে; যেমন- হৃদরোগ, চর্ম ও যৌণ, নাক-কান-গলা, স্ত্রীরোগ ও প্রসুতী বিদ্যা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ইত্যাদি। এই ধরনের ডিপ্লোমা অর্জনের পর তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষঙ্গ হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন।
ঘ) স্নাতকোত্তর ডিগ্রী: এম-এস, এম-ফিল, এম-ডি ইত্যাদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী । আমাদের দেশে এমসিপিএস ও এফসিপিএস -কেও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেয়া হয়ে থাকে। যেমন- মেডিসিন, সার্জারী, হৃদরোগ, শিশুরোগ, মূত্ররোগ, মানসিক রোগ, স্নায়ুরোগ ইত্যাদি। যে ডাক্তার যে বিষয়ে এ ধরনের ডিগ্রী পেয়েছেন তিনি ঐ ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফেলোশিপ ও সদস্যপদ রয়েছে, যেগুলো স্নাতকোত্তর যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এগুলো কোন ডিগ্রী নয়। যেমন- ডব্লুএইচও ফেলোশিপ।
ক) স্নাতকোত্তর সাধারণ প্রশিক্ষণ: সার্টিফিকেট পর্যায়ের স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ, । বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণ হতে পারে যেমন- মেডিসিন, স্ত্রী ও প্রসুতি বিদ্যা, শিশু রোগ ইত্যাদি।
খ) পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিং) : সার্টিফিকেট পর্যায়ের স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণ হতে পারে যেমন- মেডিসিন, স্ত্রী ও প্রসুতি বিদ্যা, শিশু রোগ ইত্যাদি।
গ) স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা: বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ডিগ্রী হতে পারে; যেমন- হৃদরোগ, চর্ম ও যৌণ, নাক-কান-গলা, স্ত্রীরোগ ও প্রসুতী বিদ্যা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ইত্যাদি। এই ধরনের ডিপ্লোমা অর্জনের পর তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষঙ্গ হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন।
ঘ) স্নাতকোত্তর ডিগ্রী: এম-এস, এম-ফিল, এম-ডি ইত্যাদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী । আমাদের দেশে এমসিপিএস ও এফসিপিএস -কেও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেয়া হয়ে থাকে। যেমন- মেডিসিন, সার্জারী, হৃদরোগ, শিশুরোগ, মূত্ররোগ, মানসিক রোগ, স্নায়ুরোগ ইত্যাদি। যে ডাক্তার যে বিষয়ে এ ধরনের ডিগ্রী পেয়েছেন তিনি ঐ ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফেলোশিপ ও সদস্যপদ রয়েছে, যেগুলো স্নাতকোত্তর যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এগুলো কোন ডিগ্রী নয়। যেমন- ডব্লুএইচও ফেলোশিপ।
এমবিবিএস পর্যায়ের ডাক্তারদের পদমর্যাদা অনুসারে শ্রেণীবিন্যাস (উচ্চক্রম থেকে নিম্নক্রম) করা যেতে পারে। বিভিন্নভাবে এই শ্রেণী বিন্যাস করা যায়। যেমন- ( এখানে উচ্চতর থেকে নিম্নতর ক্রম দেখানো হলো)
ক) সরকারী জেনারেল হাসপাতাল পর্যায়ে: সিনিয়র কনসালটেন্ট, কনসালটেন্ট, জুনিয়র কনসালটেন্ট, মেডিকেল অফিসার।
খ) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যায়ে : অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক। এছাড়াও এধরনের হাসপাতালে আরও একটি পদমর্যাদার ধাপ রয়েছে, যেমন- রেজিস্টার, সহকারী রেজিস্টার, মেডিকেল অফিসার ।
ক) সরকারী জেনারেল হাসপাতাল পর্যায়ে: সিনিয়র কনসালটেন্ট, কনসালটেন্ট, জুনিয়র কনসালটেন্ট, মেডিকেল অফিসার।
খ) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যায়ে : অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক। এছাড়াও এধরনের হাসপাতালে আরও একটি পদমর্যাদার ধাপ রয়েছে, যেমন- রেজিস্টার, সহকারী রেজিস্টার, মেডিকেল অফিসার ।
অতএব যে চিকিৎসকের চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন প্রথমে তার যোগ্যতা বোঝার চেষ্টা করুন এবং যোগ্যতর চিকিৎসক নির্বাচন করুন। এতে আপনার সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।
ডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম
এম এফ পি সি(ঢাকা)
ReplyDeleteএস আর টি সি (চমেক)
কোন পর্যায়ের ডিগ্রি।
এইসব ডিগ্রি কি এমবিবিএস এর সমতুল্য।
এইসব ডিগ্রি দিয়ে কিন্তু অশ্ব রোগের চিকিৎসা ও রাবার রিং লাইগেশন অপারেশন করা হয়।