আপনার শিশুকে (6 -59 মাস বয়সি) ভিটামিন ’এ’ খাওয়াতে অবশ্যই ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে নিয়ে আসুন
এবং কিছু সতর্কতা মেনে চলুন....
ভিটামিন ‘এ’ যে শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
আপনি যেখানেই থাকুন না কেন দেশের যে কোন ক্যাম্পেইন কেন্দ্র থেকে আপনার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান। ভ্রমণে থাকাকালীন আপনি রেল ষ্টেশনে, বাস ষ্ট্যান্ডে, ফেরি ঘাটে ও লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থিত ক্যাম্পেইন কেন্দ্র থেকে আপনার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল সম্পর্কিত নিম্নলিখিত সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলুন নইলে আপনার শিশুর ক্ষতি হতে পারে-
ক) কোন অবস্থাতেই 6 মাসের কম বয়স্ক শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
খ) 5 বছরের বেশি বয়সের শিশুদের খাওয়ানো যাবে না।
গ) বাড়িতে ক্যাপসুল নিয়ে এসে শিশুকে খাওয়ানো যাবে না।
ঘ) কোন শিশুকে একাধিক খাওয়ানো যাবে না।
ঙ) বিগত চার মাসের মধ্যে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো থাকলে খাওয়ানো যাবে না। যদি শিশুর ইপিআই টিকা চলমান হয় তবে শিশুর টিকাদান কার্ড খেয়াল করুন। কারন ইপিআই টিকার সাথেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হতে পারে।
মারাত্বক অসুস্থ শিশুকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর্মী/চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
মনে রাখবেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল কখনোই বাড়িতে নিজে নিজে শিশুকে খাওয়াবেন না। অবশ্যই শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে ।
বিশেষ সতর্কতা: কৌতুহল বশত প্রাপ্ত বয়স্কগন বিশেষত গর্ভবতীগন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবেন না। এই উচ্চ শক্তির ভিটামিন ই ক্যাপসুল গর্ভস্থ শিশুকে বিকলাঙ্গ করতে পারে।
ডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম
No comments:
Post a Comment